খাগড়াছড়ি শহর পরিচিতিঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের তিন পাহাড়ি জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি একটি। পাহাড় আর সবুজের
মিশেলে প্রকৃতি অকৃপণভাবে সাজিয়েছে এই খাগড়াছড়িকে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য
জেলার মোট আয়তন ২৭০০
বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। আসলে খাগড়াছড়ি ছোট একটি নদীর নাম। এই নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় এটি খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৭০০ সালে এই এলাটি কার্পাস মহাল নামে পরিচিত ছিল। ঢাকা হতে খাগড়াছড়ির দূরত্ব হচ্ছে ২৬৬ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম হতে দূরত্ব হচ্ছে ১১২ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ির স্থানীয় নাম চেংমী। প্রকৃতি এ পাহাড়ি শহরকে সাজিয়েছে অপরূপ ভাবে, স্বতন্ত্র করেছে বিভিন্ন অনন্য বৈশিষ্ট্যে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূ-ভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।
বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। আসলে খাগড়াছড়ি ছোট একটি নদীর নাম। এই নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় এটি খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৭০০ সালে এই এলাটি কার্পাস মহাল নামে পরিচিত ছিল। ঢাকা হতে খাগড়াছড়ির দূরত্ব হচ্ছে ২৬৬ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম হতে দূরত্ব হচ্ছে ১১২ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ির স্থানীয় নাম চেংমী। প্রকৃতি এ পাহাড়ি শহরকে সাজিয়েছে অপরূপ ভাবে, স্বতন্ত্র করেছে বিভিন্ন অনন্য বৈশিষ্ট্যে। এখানে রয়েছে আকাশ-পাহাড়ের মিতালী, চেঙ্গী ও মাইনী উপত্যকার বিস্তীর্ণ সমতল ভূ-ভাগ ও উপজাতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্যতা। মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।
কিভাবে যাবেনঃ
প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত রূপনন্দিনী খাগড়াছড়িকে দেখতে আর জানতে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কারণ নেই। রাজধানী ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বাস সমিতির আরামদায়ক বাস ছাড়ে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫টি। সাইদাবাদ, কমলাপুর, গাবতলী, ফকিরাপুল, কলাবাগান ও টিটি পাড়া থেকে টিকেট সংগ্রহ করে এস আলম,স্টার লাইন, শ্যামলী, সৌদিয়া, শান্তি স্পেশাল ও খাগড়াছড়ি এক্সপ্রেস যোগে খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। এছাড়া বিআরটিসি
ও সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি
বাস খাগড়াছড়ি যায়। ভাড়া পড়বে ননএসি ৫৫০-৬০০টাকা আর এসি ৮৫০-৯০০টাকা। ঢাকা থেকে ট্রেনে ফেনী এসে হিলকিং অথবা হিল বার্ড বাসে চড়েও খাগড়াছড়ি আসা যায়। তাছাড়া চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে শান্তি স্পেশাল ও লোকাল বাসে চড়ে আসা যায় খাগড়াছড়িতে।
ও সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি
বাস খাগড়াছড়ি যায়। ভাড়া পড়বে ননএসি ৫৫০-৬০০টাকা আর এসি ৮৫০-৯০০টাকা। ঢাকা থেকে ট্রেনে ফেনী এসে হিলকিং অথবা হিল বার্ড বাসে চড়েও খাগড়াছড়ি আসা যায়। তাছাড়া চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকে শান্তি স্পেশাল ও লোকাল বাসে চড়ে আসা যায় খাগড়াছড়িতে।
থাকবেন কোথায়ঃ
খাগড়াছড়িতে আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও মোটামুটি ভালই আছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন নির্মাণ করেছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এক সুবিশাল পর্যটন মোটেল। এছাড়াও খাগড়াছড়িতে মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। দীঘিনালায় কয়েকটি হোটেল থাকলেও দীঘিনালা গেস্ট হাউজের মানই সবচেয়ে ভালো।
মোটেল-হোটেল সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
পর্যটন মোটেলঃ
এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পাওয়া যাবে। ভাড়া একটু বেশি হলেও
থাকরে জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা। মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের
মানচিত্র বানানো আছে।
যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫।
যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫।
হোটেল ইকোছড়ি ইনঃ
খাগড়াপুর ক্যান্টনর্মেন্ট এর পাশে সুন্দর পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত। এটি একটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ ,
৩৭৪৩২২৫।
খাগড়াপুর ক্যান্টনর্মেন্ট এর পাশে সুন্দর পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত। এটি একটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ ,
৩৭৪৩২২৫।
হোটেল শৈল সুবর্ণঃ
যোগাযোগঃ০৩৭১-৬১৪৩৬ ,
০১১৯০৭৭৬৮১২।
যোগাযোগঃ০৩৭১-৬১৪৩৬ ,
০১১৯০৭৭৬৮১২।
হোটেল জেরিনঃ
০৩৭১-৬১০৭১।
হোটেল লবিয়তঃ
০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬
,০১১৯৯২৪৪৭৩০।
হোটেল শিল্পীঃ
০৩৭১-৬১৭৯৫।
০৩৭১-৬১০৭১।
হোটেল লবিয়তঃ
০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬
,০১১৯৯২৪৪৭৩০।
হোটেল শিল্পীঃ
০৩৭১-৬১৭৯৫।
খাগড়াছড়ি ছাড়া দীঘিনালাতে রয়েছে দীঘিনালা গেস্ট হাউজ। এটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত। এটি দীঘিনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত। এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে রুম নিয়ে থাকা যাবে। নূর মোহাম্মদ(ম্যানেজার)
– ০১৮২৭৪৬৮৩৭৭
শাহজাহান হোটেলঃ
হোটেলটি দীঘিনালা বাজারেই। যোগাযোগঃ ০১৮২৫৯৮০৮৬৭ (ম্যানেজার) ০১৭৩২৫৭৩৬১৫ (মালিক)
– ০১৮২৭৪৬৮৩৭৭
শাহজাহান হোটেলঃ
হোটেলটি দীঘিনালা বাজারেই। যোগাযোগঃ ০১৮২৫৯৮০৮৬৭ (ম্যানেজার) ০১৭৩২৫৭৩৬১৫ (মালিক)
খাবেন কোথায়ঃ
খাগড়াছড়িতে খাবার জন্য বেশ কয়েকটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট পাবেন। খান্ময়
নামে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। এটি পাঙ্খাইপারা তে অবস্থিত। আরও আছে সিস্টেম
রেস্টুরেন্ট, দা টং, কফি হাউস, খাং মই, গেয়ারিং হোটেল ইত্যাদি। আর সুন্দর
একটি ক্যাফে আছে , নাম নিউজিল্যান্ড ক্যাফে।
যে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখবেনঃ
আলুটিলাঃ
সৌন্দর্যের ঐশ্বর্যময় অহঙ্কার খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথ আলুটিলা। জেলা সদর
থেকে মাত্র ৮ কি:মি: পশ্চিমে এ আলুটিলা। এ টিলার মাথায় দাঁড়ালে সমগ্র শহর
হাতের মুঠোয় চলে আসে। শহরের ছোট খাট ভবন, বৃক্ষ শোভিত পাহাড়, চেংগী নদীর
প্রবাহ ও আকাশের আল্পনা মনকে অপার্থিব মুগ্ধতায় ভরে তোলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ
পর্যবেক্ষণের জন্য টিলায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের
একটি চমৎকার ডাকবাংলোও রয়েছে এখানে। আগ্রহী পর্যটকগণ ইচ্ছে করলে
রাত্রিযাপনও করতে পারেন। পাহাড়বাসীর কাছে যেমনি পরিচিত তেমনি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে ‘আলুটিলা’ খুবই পরিচিতি।
আলুটিলার সুরঙ্গ বা রহস্যময় গুহাঃ
আলুটিলা পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬ টি সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামলেই পাওয়া যায়
গুহামুখ। আলো আধাঁরি পরিবেশে এ গুহাটাকে দারুণ রহস্যময় গুহা রহস্যময় লাগে।
গুহার দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮২ ফুট।আলুটিলা রহস্যময়
সুগঙ্গে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কেঁটে ভিতরে
প্রবেশ করতে হবে। ফটকের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ আছে যা আপনাকে
স্বাগত জানাবে। গুহার ভিতর সূর্যের আলো যেতে পারেনা তাই যাবার পূবে অবশ্যই
মশাল নিয়ে যেতে হবে। এই সুউচ্চ পর্বতের সর্পিল আকারে আঁকা বাঁকা রাস্তার
দু’ধারে সবুজ বনাঞ্চল সারি সারি উঁচু নিচু পাহাড় আর লুকিয়ে থাকা মেঘ আপনার
মনকে চুরি করবে। রাস্তা দিয়ে মিনিট খানে হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি সরু
পাহাড়িপথ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নেমে গেছ এই পথটি। এই পথটি বেয়ে নিচে
নামলেই চোখে পড়বে একটি ছোট ঝর্না। ঝর্নার পানি নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে
ঝিরি বরাবর। তবে এখানে পাহাড়ী লোকজন ঝর্নার পানি আটকে রাখার জন্য একটি
বাঁধ দিয়েছে।
তারা এই পানি খাবার ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে।
পাকা রাস্তা শেষ হলে আপনাকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে। প্রায়২৬৬টি সিঁড়ি
বেয়ে নিচে নামলে পরে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত সেই আলুটিলা গুহা। আলুটিলা গুহাতে
যাবার জন্য আগে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে হতো গুহামুখে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ
পর্যটন করপোরেশন একটি পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই হেঁটে
যাওয়া যায় গুহা মুখে। এটি একেবারেই পাথুরে গুহা, তাই খুব সাবধানে পা ফেলে
সামনে এগুতে হয়। কারণ সুরঙ্গের ভিতরে কোন আলো নেই। সুরঙ্গের তলদেশ
পিচ্ছিল এবং পাথুরে। এর তলদেশে একটি ঝর্না প্রবাহমান। তাই খুব সাবধানে মশাল
বা আলো নিয়ে গুহা পাড়ি দিতে হবে। পা ফসকে গেলেই আহত হতে হবে। তবে অন্য
কোন ভয় নেই। গুহাটি একেবারেই নিরাপদ। আলুটিলার এই মাতাই হাকড় বা দেবতার
গুহা সত্যিই প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেয়াল। দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের
মত যার দৈর্ঘ প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার ভীতরে জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে,
রয়েছে বড় বড় পাথর। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে সময় লাগবে
প্রায় ১৫ মিনিট।
দেবতা পুকুরঃ
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র ০৫ কি:মি: দক্ষিণে খাগড়াছড়ি – মহালছড়ি সড়কের কোল
ঘেষে অবস্থিত মাইসছড়ি এলাকার আলুটিলা পর্বত শ্রেণী হতে সৃষ্ট ছোট্ট
নদী নুনছড়ি। মূল রাস্তায় বাস থেকে নেমে কিলো দুয়েক পায়ে হাঁটা পথ।
নিজস্ব পরিবহন থাকলে তা নিয়ে আপনি সোজা চলে যেতে পারেন একেবারে
পাদদেশে নদীর কাছে। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে পাহাড়ের কোলে খানিকটা
জিরিয়ে নিতে পারেন। যাওয়ার পথেই দেখা যাবে নুনছড়ি নদীর ক্ষীণ
স্রোতের মাঝে প্রকান্ড পাথর। স্বচ্ছ জলস্রোতে স্থির পাথর আপনাকে
মোহিত করবে। ছবি প্রেমিক পর্যটকরা এখানে ছবি তোলেন। সমুদ্র সমতল হতে
৭০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় এই দেবতার পুকুর অবস্থিত।
কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জল তৃঞ্চা নিবারণের জন্য স্বয়ং জল-দেবতা এ পুকুর খনন করেন। পুকুরের পানিকে স্থানীয় লোকজন দেবতার আশীর্বাদ বলে মনে করে। দেবতার অলৌকিকতায় পুকুরটি সৃষ্ট বলে এতো উঁচুতে অবস্থানের পরও পুকুরের জল কখনও শুকোয় না। প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নরনারী পূণ্য লাভের আশায় পুকুর পরিদর্শনে আসে। কিংবদন্তীর দেবতার পুকুরটি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাছে পূজনীয়।
কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জল তৃঞ্চা নিবারণের জন্য স্বয়ং জল-দেবতা এ পুকুর খনন করেন। পুকুরের পানিকে স্থানীয় লোকজন দেবতার আশীর্বাদ বলে মনে করে। দেবতার অলৌকিকতায় পুকুরটি সৃষ্ট বলে এতো উঁচুতে অবস্থানের পরও পুকুরের জল কখনও শুকোয় না। প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নরনারী পূণ্য লাভের আশায় পুকুর পরিদর্শনে আসে। কিংবদন্তীর দেবতার পুকুরটি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাছে পূজনীয়।
ভগবান টিলাঃ
জেলার মাটিরাংগা উপজেলা থেকে সোজা উত্তরে ভারত সীমান্তে অবস্থিত ভগবান
টিলা। জেলা সদর থেকে এর কৌণিক দূরত্ব আনুমানিক ৮৫ কি:মি: উত্তর-পশ্চিমে।
সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এ টিলা সম্পর্কে স্থানীয়
লোকদের বিশ্বাস, এতো উঁচু টিলায় দাঁড়িয়ে ডাক দিলে স্বয়ং ভগবানও ডাক শুনতে
পাবেন। প্রাচীন লোকজন তাই এ টিলাকে ভগবান টিলা নামকরণ করেছিলেন। সীমান্তের
অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ রাইফেলসের একটি আউট পোষ্টও আছে এখানে।
দুই টিলা ও তিন টিলাঃ
জেলা সদর থেকে মাত্র ৪২ কি:মি: দূরে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-মারিশ্যা রাস্তার
কোল ঘেষে এই টিলায় দাঁড়ালে ভূগোলে বিধৃত গোলাকৃতি পৃথিবীর এক চমৎকার নমুনা
উপভোগ করা যাবে। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা এবং দীঘিনালা থেকে মারিশ্যার বাসে
চড়ে আপনি অনায়াসেই যেতে পারেন এখানে।
আলুটিলার ঝর্ণা(রিছাং ঝরনা):
জেলা সদর থেকে আলুটিলা পেরিয়ে সামান্য পশ্চিমে মূল রাস্তা থেকে উত্তরে
গেলেই ঝর্ণার কলধ্বণি শুনতে পাবেন। জেলা শহর থেকে ঝর্ণা স্থলের দুরত্ব
সাকুল্যে ১১ কি: মি: প্রায়। ঝর্ণার সমগ্র যাত্রা পথটাই দারুণ রোমাঞ্চকর।
যাত্রাপথে দূরের উঁচু-নীচু সবুজ পাহাড়, বুনোঝোঁপ, নামহীন রঙ্গীন বুনোফুলের
নয়নাভিরাম অফুরন্ত সৌন্দর্য্য যে কাউকে এক কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়।ঝর্ণার
কাছে গেলে এক পবিত্র স্নিগ্ধতায় দেহমন ভরে উঠে। ২৫-৩০ হাত উঁচু পাহাড় থেকে
আছড়ে পড়ছে ঝর্ণার জলরাশি, ঢালু পাহাড় গড়িয়ে নীচে মেমে যাচ্ছে এই প্রবাহ।
কাছাকাছি দুটো ঝর্ণা রয়েছে এ স্থানে, প্রতিদিন বহু সংখ্যক পর্যটক এখানে এসে
ভীড় জমান এবং ঝর্ণার শীতল পানিতে গা ভিজিয়ে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হন।
মারমা ভাষায় এর নাম রিছাং ঝর্ণা, ‘রি’ শব্দের অর্থ পানি আর ‘ছাং’ শব্দের
অর্থ গড়িয়ে পড়া। মূল সড়ক হতে রিছাং ঝর্ণায় যাওয়ার পথে চারিদিকের পাহাড়ী
প্রকৃতি মনের মাঝে এক অনুপম অনুভূতির সৃষ্টি করে। ইচ্ছে করে প্রকৃতির মাঝেই
কাটিয়ে দিই সারাক্ষণ। ঝর্ণা ছেড়ে মন চায় না ফিরে আসতে কোলাহল মূখর
জনারণ্যে। নিজস্ব যানবাহন নিয়েও আপনি অনায়াসেই চলে যেতে পারেন একেবারে
ঝর্ণার পাদদেশে। সামান্য পায়ে হাঁটা পথ যাত্রার আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
তৈদুছড়া ঝরনাঃ
জেলা শহর থেকে দীঘিনালা ২০ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে জামতলী পোমাংপাড়া
হয়ে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরত্বে তৈদুছড়া। দীঘিনালা সড়কের ৯ মাইল হয়ে
সীমানাপাড়ার মধ্য দিয়েও যাওয়া যায়। দীঘিনালার পোমাংপাড়া পর্যন্ত গাড়ি
নিয়ে যাওয়া যায়। এরপর বেশ অনেকটা পথ হাটতে হবে।
পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রঃ
খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র তিন কি: মি: পূর্বেই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো লাগবে।মহালছড়ি হ্রদঃ
কাপ্তাই বাঁধের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি জমে নানিয়ারচর হয়ে মহালছড়ি
পযর্ন্ত এসেছে। এ তথ্য অনেক পর্যটকের জানা নেই। বর্ষাকালে বিশাল জলরাশি
জমাট হয়ে পরিণত হয় এক ফ্রিঞ্জল্যান্ডে।
শতায়ু বর্ষী বটগাছঃ
মাটিরাংগা উপজেলার খেদাছড়ার কাছাকাছি এলাকায় এ প্রাচীন বটবৃক্ষ শুধু
ইতিহাসের সাক্ষী নয় এ যেন দর্শনীয় আশ্চর্যের কোন উপাদান। এ গাছের বয়স
নিরূপনের চেষ্টা একেবারেই বৃথা। পাঁচ একরের অধিক জমির উপরে এ গাছটি হাজারো
পর্যটকের কাছে দারুণ আকর্ষণীয়।
এসব স্থান ছাড়াও মানিকছড়ির রাজবাড়ি, দীঘিনালার বড়াদম দীঘি,
রামগড়ের চা বাগান, তৎকালীন ইপিআর এর সূতিকাগার, পানছড়ির শান্তিপুর
অরন্যকুটির ইত্যাদি চমৎকার দর্শনীয় স্থান।
আরো পড়ুনঃ Travel to Sundorbon-সুন্দরবন ভ্রমণ
আরো পড়ুনঃ Travel to Cox's Bazar-কক্সবাজার ভ্রমণ
No comments:
Post a Comment